ন্যূনতম কর ৪০০০ টাকা, আড়াই লাখ পর্যন্ত করমুক্ত

করদাতার সংখ্যা বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর যে প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে দিয়েছেন তাতে করমুক্ত আয়ের সীমা কমিয়ে বাড়ানো হয়েছে ন্যূনতম কর।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2015, 09:57 AM
Updated : 4 June 2015, 03:19 PM

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই প্রস্তাব পাস হলে যারা বছরে আড়াই লাখ টাকার কম আয় করবেন, তারা আয়করের আওতায় আসবেন না।

আর ন্যূনতম কর বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর ন্যূনতম কর ঠিক করা ছিল কয়েকটি স্তরে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান আইনে সিটি করপোরেশন, জেলা সদরের পৌরসভা এবং অন্যান্য এলাকার কোম্পানি ব্যতিত অন্য করদাতাদের যথাক্রমে ৩ হাজার, ২ হাজার এবং ১ হাজার টাকা ন্যূনতম কর পরিশোধ করতে হয়।

“আয়কর একটি সার্বজনীন কর, যা বাংলাদেশে অঞ্চল নির্বিশেষে সমহারে গ্রহণযোগ্য। ফলে বিদ্যমান অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম কর হার প্রয়োগের পরিবর্তে এ সকল করদাতাদের অঞ্চলভিত্তিক অবস্থান নির্বিশেষে ন্যূনতম করের হার ৪ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।”

করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর দাবি গতবছরই উঠেছিল, কিন্তু অর্থমন্ত্রী মুহিত তা আগের মতোই ২ লাখ ২০ হাজার টাকা রেখেছিলেন।

এবার ওই সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, “বিরাজমান মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, প্রান্তিক করদাতাদের করহার বিবেচনায় ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।”

সেইসঙ্গে নারী ও বয়স্ক করদাতাদের এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের আয়করমুক্ত সীমাও বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

বর্তমানে নারী ও ৬৫ বছর ঊর্ধ্ব করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা রয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। নতুন বাজেটে তা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

একইসঙ্গে প্রতিবন্ধী করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বিদ্যমান ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বিদ্যমান ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে।