ইডিএফ বাড়ল ৫০ কোটি ডলার

রপ্তানি খাতের উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) পরিমাণ বাড়িয়ে ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আবদুর রহিম হারমাছিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2015, 03:53 PM
Updated : 27 May 2015, 03:53 PM

বুধবার এ তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান।

চাহিদা বাড়ায় এক বছরের ব্যবধানে এ তহবিলের পরিমাণ ৫০ কোটি ডলার বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ছাইদুর রহমান বলেন, “তৈরি পোশাকসহ অন্য সব খাতের রপ্তানিকারকদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে এ তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।”

১৯৮৯ সালে মাত্র ৩ কোটি (৩০ মিলিয়ন) ডলার দিয়ে ইডিএফের যাত্রা শুরু হয়।

বিভিন্ন সময়ে অল্প অল্প বাড়িয়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই এই তহবিলের পরিমাণ ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলার করা হয়।

গত বছরের ৬ এপ্রিল এ তহবিলের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ১২০ কোটি ডলার করা হয়।

মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ২২ জুন এই তহবিল আরও ৩০ কোটি ডলার বাড়িয়ে ১৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়।

বুধবার তা আরও ৫০ কোটি ডলার বাড়ানোয় ইডিএফের পরিমাণ এখন বেড়ে ২০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

ইডিএফ বাড়ানোর কারণ ব্যাংখ্যা করে ছাইদুর রহমান বলেন, “মূলত চাহিদা বাড়ার কারণেই এই তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আগে তৈরি পোশাকসহ দু-তিনটি খাতের রপ্তানিকারকরা এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারত। এখন প্রায় দশ খাতের রপ্তানিকারকরা নিতে পারে।”

ছাইদুর রহমান জানান, ইডিএফ থেকে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিডিওয়াইএ, লেদার এবং সিরামিক খাতের একজন রপ্তানিকারক সর্বোচ্চ ১ কোটি ৫০ লাখ (১৫ মিলিয়ন) ডলার ঋণ নিতে পারবেন।

প্যাকেজিং খাতের একজন রপ্তানিকারর পাবেন সর্বোচ্চ ২ মিলিয়ন ডলার। আর প্লাস্টিক খাতের একজন রপ্তানিকারক পাবেন ১ মিলিয়ন ডলার।

ছাইদুর রহমান বলেন, ইডিএফ বাড়ানোর কারণে রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সব খাতের রপ্তানিকারকরা স্বতস্ফূর্তভাবে এখান থেকে ঋণ নিচ্ছেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ দুই হাজার ৫৩০ কোটি ৩২ লাখ (২৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন) লাখ ডলার আয় করেছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে চেয়ে ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।

২০১৩-১৪ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

‘ইডিএফর সুদের হার কম হওয়ায় এর প্রতি রপ্তানিকারকদের আগ্রহ বেড়েছে’ উল্লেখ করে ছাইদুর রহমান বলেন, “এই তহবিলের সুদের হার হবে লাইবর (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেট) এর সঙ্গে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এ তহবিল বাড়াতে সহায়তা করেছে বলে জানান তিনি।

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। আগামী সপ্তাহেই রিজার্ভ ফের ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে জানান ছাইদুর।