সোমবার এক সার্কুলার জারি করে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা দেয় বিএফআইইউ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ১০ লাখ বা তার বেশি লেনদেন হলে সেটি নগদ লেনদেন হিসেবে বিএফআইইউকে জানাতে হবে।
নগদ লেনদেন বলতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হিসাবের অনুকূলে তাদের গ্রাহক বা তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত লেনদেনকে বোঝাবে।
এসব লেনদেন মাসিক ভিত্তিতে দিতে হবে। প্রতি মাসের রিপোর্ট পরবর্তী মাসের ২১ তারিখের মধ্যে দিতে হবে।
কোনো মাসে এ ধরনের লেনদেন না হলে ‘নগদ লেনদেন রিপোর্টযোগ্য কোনো লেনদেন নেই’ মর্মে রিপোর্ট দিতে হবে।
সরকারি হিসাব, সরকার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাবে নগদ জমার ক্ষেত্রে নগদ লেনদেন রিপোর্ট করার দরকার হবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়েছে। তবে নগদ উত্তোলনের জন্য রিপোর্ট করতে হবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে নগদ লেনদেন রিপোর্টিং চালু করা হলো।
এর আগে এসব প্রতিষ্ঠানে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং চালু করা হয়।
এসব রিপোর্ট বিএফআইইউকে পাঠানো হলেও কমপক্ষে ৫ বছর সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।