শনিবার জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এতে বলা হয়, এই প্রজ্ঞাপন জারির আগে (শনিবার, ২৩ মে, ২০১৫) কেনা সকল সঞ্চয় স্কিমের ক্ষেত্রে ক্রয়ের সময়ে নির্ধারিত হারেই মুনাফা দেওয়া হবে।
‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের মুনাফার হার পুননির্ধারণ সংক্রান্ত’ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্র ১৩ দশমিক ১৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্র ১৩ দশমিক ২৪ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ১৩ দশমিক ১৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং তিন বছর মেয়াদি ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ১২ দশমিক ৫৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ করা হয়েছে।
সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সোমবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশও করে সঞ্চয় অধিদপ্তর।
হিসাবের সুবিধার্থে মাসিক/৩ মাস/৩ বছর (মেয়াদান্তে)/৫ বছর (মেয়াদান্তে) মেয়াদি সঞ্চয় স্কিমের মুনাফার পরিমাণ ৫ (পাঁচ) গুণিতক সংখ্যায় নির্ধারণ হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওয়েজ আর্নারদের দেশে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত করতে পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের বিধান বহাল রাখা হয়েছে। তবে বিলুপ্ত করা হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়াম দেওয়ার বর্তমান বিধান।
গত ১০ মে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হয়েছে। বিক্রি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এর সুদের হার কমানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রজ্ঞাপন জারি করে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিল অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ৩০ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে।
এই সময়ে আগে কেনা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল বাবদ ৯ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা পরিশোধের পর নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা।
যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি।
২০১৩-১৪ অর্থবছরের এ সময়ে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৪৬০ কোটি টাকা।