কালো টাকা শুধু উৎপাদনশীল খাতে চায় ডিসিসিআই

জরিমানা দিয়ে অঘোষিত আয় বৈধ করার সুযোগ শুধুমাত্র উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2015, 02:26 PM
Updated : 25 May 2015, 02:50 PM

আসছে বাজেট নিয়ে সংগঠনের প্রস্তাবনা তুলে ধরতে সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করে এই প্রস্তাব দেয় ডিসিসিআই।

ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, “নির্ধারিত করের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে বৈধ করা অঘোষিত অর্থ আগামী বাজেটে শুধুমাত্র উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহারে সীমাবদ্ধ রাখতে সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

এ বছরের শুরুতে তিন মাসের অস্থিরতায় ব্যবসায়ীরা ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছেন উল্লেখ করে খালেদ বলেন, “সব ব্যবসায়ীকে কর প্রদানে বিশেষ ছাড় দিতে হবে। ফিক্স ভ্যাট প্রদানকারীদের নূন্যতম ৫০ শতাংশ মওকুফের আহ্বান জানাচ্ছি।”

করদাতার আওতা বাড়ানো, চেম্বার ও ট্রেড বডির উপর কর প্রত্যাহার ও আয়কর আইনের বিধি সংশোধন করে মূসক বা ভ্যাট ১৫ শতাংশের পরিবর্তে সাড়ে ৭ শতাংশ করাসহ ১৪ দফা প্রস্তাব দেয় ডিসিসিআই।

আগামী অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণিতে করমুক্ত আয়ের সীম দুই লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে পৌনে তিন লাখ এবং মহিলা করদাতা ও বয়স্ক করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা পৌনে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করার দাবি জানান ডিসিসিআই সভাপতি।

প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করারও দাবি জানিয়েছে ডিসিসিআই।

এছাড়া বয়স্ক নাগরিকদের কর রেয়াত সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ৬৫ বছর থেকে কমিয়ে ৬০ বছর করার দাবি জানালেও অর্থমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়েছেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, “আমদানি পর্যায়ে অ্যাডভ্যান্স ইনকাম ট্যাক্স ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা অথবা ৫ শতাংশকে চূড়ান্ত দায় হিসাবে বিবেচনার প্রস্তাব করছি।”

সাধারণ মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে এই খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারেরও দাবি জানায় সংগঠনটি।

এছাড়া মহিলাদের জন্য আলাদা বাস সার্ভিসের দাবি জানালে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা ভাল পরামর্শ, বিবেচনা করা হবে।”

শহরায়ন বিকেন্দ্রীকরণ, নদী ও নিষ্কাশন খালগুলো পুনরুদ্ধার এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি তুলে ধরেন ডিসিসিসিআই সভাপতি।

তবে এখনই জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে না বলে ব্যবসায়ী নেতাদের সাফ জানিয়েছে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, “ব্যবসা হোক আর নাই হোক ট্যাক্স দিতেই হবে। আপাতত এটা থেকে সরে আসা হচ্ছে না। তবে দেশীয় শিল্পের যেন বিকাশ হয় সেদিকে নজর রাখা হবে।”

বৈঠকে ব্যবসায়ীরা নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ না পাওয়াসহ প্রতিবন্ধকতাগুলো অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ছাড়াও ডিসিসিআইর অন্য নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।