১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে রেমিটেন্স

চলতি অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ এক হাজার ৫০০ কোটি (১৫ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

আবদুর রহিম হারমাছিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2015, 03:37 PM
Updated : 18 May 2015, 05:25 PM

যা হবে অতীতের যে কোন বছরের চেয়ে বেশি।

১৫ মে পর্যন্ত আসা রেমিটেন্সের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ পূর্বাভাস দিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহা ব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সাড়ে দশ মাসে (গত বছরের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৫ মে পর‌্যন্ত) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৩২৪ কোটি ৩৫ লাখ (১৩ দশমিক ২৪ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন।

যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

আগের মাসগুলোর ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেও রেমিটেন্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে তথ্য দিয়ে ছাইদুর রহমান বলেন, মে মাসের ১৫ দিনে (১ মে থেকে ১৫ মে পর‌্যন্ত) ৬৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাকি ১৫ দিনে আরও ৭০ কোটি ডলার আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

“আর অর্থবছরের শেষ মাস জুন রোজার ঈদের আগে হওয়ায় রেমিটেন্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছি আমরা।”

সে হিসাবে জুন মাসে যদি ১৪০ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসে তাহলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট রেমিটেন্সের পরিমাণ ১৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবে।

“আমি নিজে হিসাব-নিকাশ করে দেখেছি এবার কম করে হলেও ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে আসবে।”

এর আগে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছিল ২০১২-১৩ অর্থবছরে, ১৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার।

গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে অবশ্য ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ১৪ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল।

২০১১-১২ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

রিজার্ভ ২৩.৬ বিলিয়ন ডলার

সোমবার দিন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের পরিমাণ ছিল ২৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।

২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের ‘ঘর’ অতিক্রম করে।

৭ মে চলতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মেয়াদের ১০০ কোটি ২০ লাখ ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে এসেছে।

চলতি মাসের মধ্যেই তা ফের ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন জানান ছাইদুর রহমান।

রেমিটেন্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয় রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ২৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।

৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার ক্রয়

বাজার ‘স্থিতিশীল’ রাখতে ডলার কিনেই চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবারও চার কোটি (৪১ মিলিয়ন) ১০ লাখ ডলার কিনেছে।

চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত (সোমবার পর্যন্ত) ৩১২ কোটি (৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন) ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত অর্থবছরে কিনেছিল ৫১৫ কোটি (৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন) ডলার।

আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে সোমবার ৭৭ টাকা ৮০ পয়সায় ডলার কেনাবেচা হয়েছে। গত চার মাস ধরে টাকা-ডলারের বিনিময় হার এই একই দরে ‘স্থির’ রয়েছে।