তিন মাসে প্রকল্পের ২৫% বাস্তবায়ন করতে হবে: পরিল্পনামন্ত্রী

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতানুগতিক র্দীঘসূত্রিতা কমাতে তিন মাসে বরাদ্দের ২৫ শতাংশ র্অথ ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2015, 05:25 PM
Updated : 17 May 2015, 05:25 PM

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

পরে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “বছর শেষে প্রকল্পের অর্থ খরচের হিড়িক দেখা যায়। এতে প্রকল্পের গুণগত বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এ পরিস্থিতি রোধে প্রতি তিন মাসে বরাদ্দের ২৫ শতাংশ র্অথ ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা দেওয়া হবে।”

মন্ত্রী বলনে, এখন থেকে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে যতদিন সময় লাগবে, ঠিক ততদিনই দেওয়া হবে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মূল্যায়ন প্রতিবেদনে জমা দিতে হবে।

“মূল্যায়নে যেসব প্রকল্প পরিচালক ভালো করবেন, তাদেরকে পরর্বতীতে বড় প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

এছাড়া কোনো প্রকল্প দুবারের বেশি সংশোধন করা হবে না বলে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হলেও তার সঙ্গে আরো অনেক কিছু জুড়ে দিয়ে সেটাকে জিইয়ে রাখতে চান প্রকল্প পরিচালক। এ ধরনের প্রকল্পকে সংশোধিত আকারে অনুমোদন দেওয়া হবে না।

“প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে। একনেক যেভাবে অনুমোদন হবে, ঠিক সেভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।”

প্রাথমিক শিক্ষার বেশি কিছু দেশব্যাপী বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্পসহ বড় প্রকল্পের কাজে গতি আনতে জাতীয়ভাবে একজন প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে প্রতি বিভাগে একজন করে প্রকল্প সমন্বয়ক নিয়োগ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

পাশাপাশি গুণগত মান ঠিক রেখে বড় প্রকল্প যথাসময়ে সময়ে বাস্তবায়ন করতে দরপত্র একক প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বণ্টন করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময় খুবই গুরুত্বর্পূণ উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বর্ষাকালে নদী ভাঙন রোধের কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না। এধরনের প্রকল্প আগস্টে অনুমোদন দেওয়া হবে এবং অক্টোবরে দরপত্র সম্পন্ন হবে। শুষ্ক মৌসুমে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ সফিকুল আজমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।