সাউথ-সাউথ সম্মেলন শুরু রোববার

গোলকের দক্ষিণ দিকের দেশ সমূহের মধ্যে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি বিনিময়ের উপায় বের করতে রোববার ঢাকায় এক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2015, 04:53 PM
Updated : 16 May 2015, 04:53 PM

সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রাইঙ্গুলার কোঅপারেশন ইন দ্য পোস্ট-২০১৫ ডেভেলপমেন্ট এজেন্ডা’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

দুদিনের সম্মেলনে উত্তর ও দক্ষিণের ৪৫টি দেশ ও ১৩টি উন্নয়ন সংস্থার মোট ১৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। যার মধ্যে ৩টি দেশের মন্ত্রী, সরকারের উচ্চ পর‌্যায়ের কর্মকর্তা, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, পেশাজীবী এবং জাতিসংঘের উচ্চ পর‌্যায়ের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

শনিবার এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন কমিটির সভাপতি ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- বর্তমান ও আগামী দিনের উন্নয়ন চাহিদার আলোকে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রিমুখী সহযোগিতা উন্নয়ন, অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর কিভাবে আরও সম্প্রসারণ করা যায় তার উপায় উদ্ভাবন।

দুদিনের এ সম্মেলনে তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন এবং তিনটি প্রায়োগিক অধিবেশন থাকবে।

এসব অধিবেশনের ফলাফল জুলাই মাসে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত সাউথ-সাউথ কোঅপারেশনের তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

ইআরডি সচিব বলেন, ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দক্ষিণের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের সূচিত ধারাকে আরও বেগবান করাই এ সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য।

আবদুল মোমেন বলেন, “বিশ্বের মোট জিডিপির অর্ধেক আসে দক্ষিণের দেশগুলো থেকে। বিশ্বের মোট অর্থনৈতিক উৎপাদনের অর্ধেক আসে এসব দেশ থেকে এবং বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় অর্ধেক হয় এ অংশ থেকে।

“তাই টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষিণের দেশগুলোর বিপদ সামাল দেওয়ার সক্ষমতা অর্জনের জন্য সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন জরুরি।”

এ সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েই সম্মেলনে আলোচনা হবে এবং তা একটি প্রস্তাবনা আকারে জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ইথিওপিয়ার সম্মেলনে আলোচনা হবে জানান জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি।

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও মেয়াদ পূর্তির আগেই জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ প্রণিধানযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে দাবি করে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, “এমডিজির লক্ষ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে আমাদের দারিদ্র্যের হার ২৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে বলা হয়েছিল। দুই বছর আগেই অর্থ্যাৎ ২০১৩ সালেই সেটা আমরা অর্জন করে ফেলেছি।”

সর্বশেষ হিসাবে বাংলাদেশে দারিদ্রের হার এখন ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে বলে তথ্য দেন মন্ত্রী।