এবার আসছে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল

তথ্য প্রযুক্তির সব ক্ষেত্রে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার।

জাফর আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2015, 06:35 PM
Updated : 11 May 2015, 06:43 PM

সাউথ ইস্ট এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-৫ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) এর সঙ্গে সংযোগের জন্য ‘আঞ্চলিক সাবমেরিন টেলিযোগাযোগ প্রকল্প’ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আন্তর্জাতিক সাবমেরিন যোগাযোগ ব্যবস্থার বহুমুখীকরণ, দেশের অতিরিক্ত ব্যান্ডউইডথ (ডাটা ও ভয়েসের ক্ষেত্রে) চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সফটওয়্যার রপ্তানি, ডাটা এন্ট্রি ও ফ্রি-ল্যান্সিংসহ সার্বিক তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উন্নত সেবা নিশ্চিত হবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাগরের নিচ দিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা ও মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত ২৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ কেবল স্থাপন করা হবে বলে প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে।

১৪টি দেশের ১৬টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক একটি কনসোর্টিয়ামের অধীনে এই সাবমেরিন কেবল সিস্টেম পরিচালিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, ইতালি, আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া, মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমরিাত, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমার।

প্রকল্পের আওতায় কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত কেবল সংযোগ স্থাপন করে দেওয়ার পর সেখান থেকে বাড়তি ৩০০ কিলোমিটার কেবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত সংযোগ নিয়ে যাওয়া হবে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় ১০ একর জমিতে এই স্টেশন স্থাপনসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।

কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কোনো কারণে প্রথম সাবমেরিন কেবলস সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা অকার্যকর হলে দ্বিতীয়টি বিকল্প হিসেবে তথ্য প্রযুক্তির মহাসড়কে বাংলাদেশকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সংযুক্ত রাখবে।

“প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ১৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডইউডথের মালিকানা অর্জন করবে। একইসঙ্গে ৪জি নেটওয়ার্কও নিশ্চিত হবে।”

প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১৬৬ কোটি টাকা আসবে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিএসসিসিএল ১৬৬ কোটি টাকা এবং বাকি ৩৫২ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য থেকে জোগান দেওয়া হবে।

২০০৫ সালে একই কনসোর্টিয়ামের অধীনে এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৪ নামে প্রথম সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। ২০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সাবমেরিন কেবলের ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারের ঝিলংজাতে স্থাপন করা হয়েছে।