সবাইকে করের আওতায় আনতে চান অর্থমন্ত্রী

ন্যূনতম হারে হলেও দেশের ‘উপার্জনক্ষম’ সব মানুষের উপর করারোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2015, 01:43 PM
Updated : 9 May 2015, 03:56 PM

শনিবার রাজধানীতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে রাজস্ব আহরণের কৌশল নিয়ে সেমিনারের একথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশের ১৬ কোটি মানুষের মাত্র ১১ লাখ মানুষ কর দেয়। এটা অযৌক্তিক। সবাইকে একটা ন্যূনতম কর দিতে হবে, যা আগামী বাজেট থেকে বাস্তবায়িত হতে পারে।

“আমাদের রাজস্ব আহরণের কৌশল ভালো নয়। দেশের সাড়ে ১৮ লাখ মানুষের টিআইএন থাকলেও কর দেয় মাত্র ১১ লাখ মানুষ। এটা খুবই লজ্জার এবং অবিশ্বাস্য।”

মুহিত বলেন, টেলিফোন অপারেটর বা তথ্য প্রযুক্তির অন্যান্য কোম্পানিগুলোর কর যৌক্তিক হারে নির্ধারণে বিটিআরসিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় দরকার।

পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় রাজস্ব আহরণ কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য সবচেয় বেশি প্রয়োজন সময়মতো অগ্রাধিকারভিত্তিক বড় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।

একই সঙ্গে দেশের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সুদের হার কমানোর ওপর জোর দেন নাসিম মঞ্জুর।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, প্রতিবছর বাজেটে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় তার ২ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত আদায় করা সম্ভব হয় না। এজন্য ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এমতাবস্থায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে আহরণ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের উপর জোর দেন তিনি।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জায়েদী সাত্তার, ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।