পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এপ্রিলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। তার আগের মাস মার্চে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কমার পরও সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল ইলিশের চাহিদার বিষয়টি টেনে আনেন।
“মূলত পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ইলিশের দাম বৃদ্ধির কারণেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়।”
নগর জীবনে পহেলা বৈশাখে খাবারের আয়োজনে অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় মাছ ইলিশ। প্রজননের জন্য ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের মধ্যে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই মাছ কিনতে চার-পাঁচ গুণ বেশি দাম গুণতে হয়েছে ক্রেতাদের।
পরিকল্পনামন্ত্রী বুধবার পরিকল্পনা কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন।
এপ্রিল মাসে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৪৮ ভাগ, যা মার্চে ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, যা মার্চে ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
পহেলা বৈশাখে ইলিশের চাহিদার মতো নতুন পোশাক কেনার প্রবণতাও রয়েছে, কিন্তু তার প্রভাব খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিতে দেখা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরাস্তু খান বলেন, “উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উৎসবের সময়েও মানুষ পোশাকের চেয়ে খাদ্য পণ্যই বেশি কেনে। তাই খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।”
মাছ, মাংস, শাক-সবজি, ফল ও দুধের দাম বাড়ার কারণেই খাদ্য উপ খাতে মার্চের তুলনায় মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১২ ভাগ বেশি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
খাদ্যবহির্ভূত উপ খাতে মূল্যস্ফীতি কমার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়া এতে প্রভাব রেখেছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এক বছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৬ ভাগ। আগের বছরের একই সময় পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
গ্রামেও মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। মার্চের ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল, যা এপ্রিলে হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশে, মার্চে এ হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭ ভাগ।
মার্চ-এপ্রিল দুই মাসে জাতীয় মজুরি হার যথাক্রমে ৯ দশমিক ২৭ ও ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়েছে বলে জানানো হয়।