এজন্য বড় ও নামকরা ক্লাবের সদস্য, সব ব্যক্তিগত গাড়ির মালিক, রাজধানীতে ১৫০০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের বাসায় বসবাসকারী ও বাসায় এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারকারীদের করের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার এক প্রাকবাজেট আলোচনায় অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের এই সংগঠনের নেতারা প্রতিষ্ঠানের বেলায়ও একই পদক্ষেপ নিতে এনবিআরকে পরামর্শ দিয়েছেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে এই আলোচনা সভায় সংস্থার চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সভা পরিচালনা করেন ইআরএফ সভাপতি সুলতান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে এনবিআরের শুল্ক, আয়কর ও মুসক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা এবং ইআরএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, “পাশের দেশের তুলনায় আমাদের দেশে প্রত্যক্ষ কর আদায় কম। রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে প্রত্যক্ষ কর বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধেও উদ্যোগ নিতে হবে।”
বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের কারণে শিল্পোদ্যোক্তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে ব্যবসায়ীদের পাশে এনবিআরকে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি।
ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু কাওসার অভিজাত ক্লাবের সদস্যদের ওপর ‘সুপার ট্যাক্স’ আরোপের সুপারিশ করেন।
ইআরএফ সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহনেওয়াজ করীম বাংলাদেশের তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে তাদের প্রয়োজনীয় সুতা ও রং আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
ইআরএফের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া কাজল বলেন, “কর দেওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও ভয় রয়েছে। এনবিআরকে এই ভয় দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে।”
কম দামের তামাক পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন তিনি।
“দামি তামাকপণ্য ব্যবহারকারীর তুলনায় কম দামি তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি। অথচ প্রতিবছরই দামি তামাকপণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়।”
ইআরএফের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বদিউল আলম তামাকজাত সব পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দেন।
অন্যান্য বক্তারা করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা, আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) দাখিল পদ্ধতি সহজ করা, ব্যাংকের গ্রাহকদের ই-টিআইএন ব্যাংক থেকে করানোর ব্যবস্থা করা, দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।