বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাটি আসলে কী?

সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি নির্দেশনায় সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।  

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2015, 12:38 PM
Updated : 27 April 2015, 12:58 PM

সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান (গভর্নর সচিবালয়) স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আগামীকাল ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে কর্মরত সকল মোবাইল ফাইনানশিয়াল সার্ভিসেসের গ্রাহক পর্যায়ে ক্যাশ-ইন ও ক্যাশ-আউট, ব্যক্তি হতে ব্যক্তি, মার্চেন্ট পেমেন্ট ও মোবাইল টপ-আপ এর লেনদেন সীমা সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।”

এর ব্যাখ্যায় আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২ পর্যন্ত মোবাইল ফোনে এক হাজার টাকার বেশি রিচার্জ বা কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলার জারি করে দেশের সব মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার, ব্যাংক ও তাদের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা জানিয়ে দিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এরপর বিকালে আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত আরেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে আগামীকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত সব ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।”

সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কে এম আবদুল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারে বলা হয়, “২৮ এপ্রিল বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল মোবাইল ফাইনানশিয়াল সার্ভিসেসের গ্রাহক পর্যায়ের লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হল।”

এ বিষয়ে দেশের সব মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার, ব্যাংক ও তাদের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় ওই সার্কুলারে। 

কিন্তু দ্বিতীয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বা সার্কুলারে আই-টপের বিষয়ে কিছু উল্লেখ না থাকায় বিভ্রান্তি আরও বাড়ে। 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অনেকেই ফোন করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আসলে ওই নির্দেশনায় কী বোঝাতে চেয়েছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। তবে ভোটের আগে মোবাইল ব্যাংকিং করে ‘ভোট কিনতে টাকা ছড়ানোর’ শঙ্কা প্রকাশ করে ঢাকার একজন মেয়র প্রার্থী নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।