স্কুলগুলোতে ১৫ থেকে ২০ তলা ভবন নির্মাণের বিষয়ে প্রকল্প তৈরি করে তা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০ মন্ত্রণালয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা ১০ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “এখন মায়েরা তাদের সন্তানদের নামিদামি স্কুলে ভর্তি করাতে পারে না। এ সংকট কাটাতে এসব স্কুলে ১৫ থেকে ২০ তলা পর্যন্ত ভবন সম্প্রসারণ করা হবে। এর ফলে স্কুলগুলোত প্রায় দুই লাখ অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা সম্ভব হবে।”
পাশাপাশি গ্রামের স্কুলগুলোতেও ধারণক্ষমতা বাড়াতে নতুন ভবন নির্মাণ ও পুরনো ভবন সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, “গ্রামের স্কুলগুলোও তিন থেকে চার তলা করা হবে। নতুন স্কুল ভবনগুলো টাইলস দিয়ে তৈরি করা হবে।
“পরীক্ষার জন্য কোনো স্কুল বন্ধ থাকবে না। স্কুল খোলা রেখে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে।”
আগামী অর্থবছরে এডিপির আকার প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এর মধ্যে মেগা প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর শেষে এসব প্রকল্প দৃশ্যমান হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এডিপির আকার বাড়লে মানসম্পন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিদর্শনও বাড়াতে হবে। এ জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) জনবল ৭৮ থেকে ১২০ জনে উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রী তাকে আশ্বস্ত করেছেন।
এছাড়া মহাসড়কের পাশে খালি জায়গায় পরিকল্পিত হাটবাজার তৈরিতেও সরকার প্রকল্প হাতে নেবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।