শুক্রবার বিকালে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত এ সার কারখানার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন জানান, দর্শনার কেরু চিনিকলের আকন্দবাড়িয়া খামারে চিনির বর্জ্য থেকে এ জৈব সার উৎপাদিত হবে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে ৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র এ জৈব সার কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এর কাজ শেষ হয়।
পরে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয় বলে জানান তিনি।
আরশাদ হোসেন জানান, এ কারখানায় চিনিকলের ‘প্রেসমাড’ ও ‘স্পেন্ট ওয়াশ’ থেকে তৈরি হবে জৈব সার, যার প্রতি কেজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ টাকা।
এ কারখানায় বার্ষিক ৯ হাজার মেট্রিকটন জৈব সার উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, এ ধরনের জৈব সারের ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ যেমন বন্ধ হবে, তেমনি জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ২২ লাখ মেট্রিকটন সার আমদানি করতে হয়। এ কারখানার ফলে অনেকাংশে কমে আসবে সার আমদানি, সাশ্রয় হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক দোলোয়ার হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, কেরু চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী প্রমুখ।