বাজেট সংশোধন: কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2015, 02:06 PM
Updated : 7 April 2015, 02:06 PM

মঙ্গলবার আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানিয়ে বলেন, “২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। এখন আমরা তা সংশোধন করে দুই লাখ ৩৮ হাজার টাকায় নামিয়ে এনেছি।”

বাজেট কমানোর কারণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ডিসেম্বর পর্যন্ত আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতাম, এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি প্রবৃদ্ধি) ৭ শতাংশের বেশি হবে। কিন্তু বিএনপি জোটের সহিংস রাজনীতির কারণে এখন মনে হচ্ছে সেটা আর সম্ভব হবে না। সে কারণেই আমরা বাজেট সংশোধন করেছি।”

ইতিমধ্যে উন্নয়ন বাজেটের আকার (সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপি) ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৭৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।

গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল দুই লাখ ১৬ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে দুই লাখ ১৬ হাজার ২২২ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের নিচেই থাকবে

নতুন বাজেটের আকার তিন লাখ কোটি টাকার মতো হবে জানিয়ে মুহিত বলেন, “বরাবরের মতো্ এবারও ঘাটতি বাজেটই দিতে হবে। আর তা চলতি বাজেটের ন্যায় ৫ শতাংশের নিচেই থাকবে।”

২০১৩-১৪ অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে হয় ৫ শতাংশ।

২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা আছে ৫ শতাংশ।

অগ্রাধিকার মানব সম্পদ এবং সামাজিক উন্নয়নে

নতুন বাজেটে মানব সম্পদ এবং সামাজিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “এতোদিন আমরা জ্বালানি এবং যোগাযোগ খাতে বেশি অগ্রাধিকার দিতাম। এবার আমরা সেটা শিফট (পরিবর্তন) করতে চাই। নতুন বাজেটে হিউম্যান অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্টে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

“গত কয়েক বছরে আমরা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছি। আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০০৯-১০ অর্থবছরে আমাদের বাজেটের আকার ছিল ৯০-৯৫ হাজার কোটি টাকা। এবার আমরা তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছি।

“বেড়েছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ। এতেই প্রমাণিত হয়, আমাদের অর্থনীতির আকার বাড়ছে। উন্নয়ন হচ্ছে।”

‘দারিদ্র্য কমলেও বৈষম্য বেড়েছে’ এনজিও প্রতিনিধিদের সমালোচনার জবাবে মুহিত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনাদের এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই একমত নই। বাংলাদেশই পৃথিবীর একমাত্র দেশ- যেখানে দারিদ্র্য ও বৈষম্য একসঙ্গে কমছে।”

২০১৮ সালের পর বাংলাদেশে কোন দারিদ্র্য থাকবে না বলেও মনে করেন মুহিত।