আরও বেড়েছে খাবারের দাম

খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় মার্চ মাসে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক মূল্যস্ফীতি আরও খানিকটা চড়েছে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2015, 08:10 AM
Updated : 7 April 2015, 10:05 AM

পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (মাসওয়ারি) ভিত্তিতে মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ ছিল।

এর অর্থ হচ্ছে, গত বছরের মার্চ মাসে ১০০ টাকায় যে পণ্য বা সেবা পাওয়া যেতো, সেই একই পরিমাণ পণ্য বা সেবার জন্য এখন ১০৬ টাকা ২৭ পয়সা খরচ করতে হচ্ছে।

মার্চ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ ছিল।

অবশ্য খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশ থেকে সামান্য কমে  ৬ দশমিক ১২ শতাংশ হয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এই তথ্য প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, গত তিন মাস ধরে বিএনপি জোটের অবরোধ-হরতালে পণ্য পরিবহণ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। 

মাসওয়ারি হিসাবে এই সূচক বাড়লেও গড় মূল্যস্ফীতি কমেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পর্যন্ত সময়ে এই হার ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ ছিল।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম আট মাসে মূল্যস্ফীতি নিম্মমুখী থাকলেও ফেব্রুয়ারি থেকে তা বাড়তে শুরু করে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এরপর প্রতি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমতে কমতে গত জানুয়ারিতে ৬ দশমিক ০৪ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে তা ফের বেড়ে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ হয়।

গত বছরের নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ২১ শতাংশ, ডিসেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ১১ শতাংশ।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট গত ৫ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে টানা অবরোধ চালিয়ে আসার পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি ও মার্চের একটি বড় সময় হরতাল করে।

এই হরতাল-অবরোধের মধ্যে সড়কে যানবাহন লক্ষ্য করে ব্যাপক নাশকতা ঘটায় জানুয়ারি মাসে পণ্য পরিবহনে বড় ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়।

মহাসড়কে যাত্রী এবং পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও আনসারকেও মাঠে নামায় সরকার।