রিজার্ভ আরও বৃদ্ধি প্রয়োজন: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালেও তা আরও বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2015, 06:26 PM
Updated : 31 March 2015, 06:26 PM

মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মতো রিজার্ভ দুই হাজার ৩০০ কোটি (২৩ বিলিয়ন) ডলার অতিক্রম করার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ইন্টার্নাল বা এক্সটার্নাল যে কোন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

“তথাপি, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিবেচনায় বর্তমান মজুদ স্বস্তিদায়ক হলেও এ মজুদ আরও বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রার যথেষ্ট মজুদ একদিকে যেমন দেশের উন্নততর সার্বভৌম রেটিং প্রাপ্তিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে অপেক্ষাকৃত কম সুদে ঋণ গ্রহণ সম্ভব হয়, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ আকর্ষণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

“রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকা স্থিতিশীল থাকবে বা পূর্বের তুলনায় শক্তিশালী হবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনরায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের এই দিনে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। এক বছরে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ২০ শতাংশ বেড়েছে।

বর্তমানের এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান।

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার স্থিতিশীল বিনিময় হার বজায় থাকায় ও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের পরিমাণ ও এর ব্যবহারের আওতা সম্প্রসারণ করায় রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং প্রবাসী আয়ের (রেমিটেন্স)সন্তোষজনক প্রবাহ অব্যাহত থাকা রিজার্ভ বেড়েছে।

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ও বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ বাড়ায় রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।

“এছাড়া দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য খাতে আমদানির পরিমাণ হ্রাসসহ বিশ্ববাজারে খাদ্য পণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম কমায় সার্বিকভাবে আমদানি দায় কমেছে। আর এটি রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।”

রিজার্ভ স্থিতি বিবেচনায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বর্তমানে ভারতের রিজার্ভ ৩৪০ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারী পাকিস্তানের রিজার্ভ ১৬ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার।