বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী সঙ্গে বৈঠকে রিলায়েন্সের ভাইস চেয়ারম্যান সতীশ শেঠ এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকের পর উপদেষ্টা বলেন, “প্রাথমিকভাবে রিলায়েন্স গ্রুপ দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। পর্যায়ক্রমে এই বিনিয়োগ তিন বিনিয়োগ ডলার হবে।
“এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে আগামী আড়াই বছরের মধ্যেই জাতীয় গ্রিডে আরো সাতশো ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।”
এই প্রকল্পের আওতায় চার পর্যায়ে মোট তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে রিলায়েন্স।
প্রাথমিক পর্যায়ে দুটি প্লান্টের বিষয়ে সরকার একমত হয়েছে, যা দুটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। এই দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য মোট তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় এলএনজি আমদানি করবে রিলায়েন্স গ্রুপ। ভাসমান টার্মিনাল বসানোর খরচও তারাই বহন করবে।
দেশের প্রথম এই এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে মহেশখালী ও মেঘনাঘাটকে সম্ভাব্য প্রকল্প এলাকা ভাবা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, এ লক্ষ্যে আলোচনা চূড়ান্ত করতে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ কায়কাউসকে প্রধান করে গঠিত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সতীশ শেঠের নেতৃত্বে রিলায়েন্সের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার নিজেস্ব বিমানে ঢাকা আসে এবং এই বৈঠকের পর তারা ফিরে যান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সন্দ্বীপ চক্রবর্তী ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।