স্কুল ব্যাংকিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ এর ডিসেম্বর শেষে স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার ৩০৩টি।
এর মধ্যে গ্রাম এলাকার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা হিসাব খুলেছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ২০১টি, শহরে খুলেছে ৫ লাখ ৭৬ হাজার হিসাব। এই হিসাবগুলোতে জমা করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭১৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
প্রথম বছরে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয়েছিলো ২৯ হাজার ৮০টি। দেড় লাখ স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে সময় লাগে আড়াই বছর।
সালে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ কার্যক্রম শুরু হলেও স্কুলশিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সালে।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় দেশের ব্যাংকগুলোতে মোট এক লাখ ৩২ হাজার ৫৩৭টি হিসাব খোলা হয়। ওই সময় হিসাবগুলোতে মোট স্থিতি ছিল ৯৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮০৩টি। ওই সময় হিসাবগুলোতে মোট স্থিতি ছিলো ৩০৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
তাতে বলা হয়, সঞ্চয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার নিমিত্তে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাংক সেবার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা হলে দেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পাবে।
শুরুতে মাত্র ১০ টাকা জমা রেখে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা যেত। তবে চলতি বছর স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে।
নীতিমালায় বলা হয়, কমপক্ষে ১০০ টাকা জমা করে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে হবে। ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এ হিসাব খুলতে পারবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে অভিভাবকরা এসব হিসাব পরিচালনা করতে পারবেন।