নতুন ১৭ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল করতে ১৭টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2015, 11:04 AM
Updated : 18 Feb 2015, 11:15 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বেজার পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বেজার চেয়ারম্যান।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, “সারা দেশে ১৭টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

বৈঠকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ অনুমোদন করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।

অর্থনৈতিক অঞ্চলেই বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস রাখার নির্দেশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, “বৈঠকে জি-টু-জি ভিত্তিতে জাপান ও চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

“জায়গা আমরা দেব। করবে তারা।”

জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য গাজীপুরের শ্রীপুরে, কক্সবাজারে পর্যটনের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, নরসিংদীতে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চীনের জন্য, ঢাকার কেরানীগঞ্জে, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জে, ভোলায়, আশুগঞ্জে, মুন্সীগঞ্জে আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল, পঞ্চগড়ে, মুন্সীগঞ্জে তৈরি পোশাক খাতের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, নীলফামারী, কুষ্টিয়া ও আগৈলঝড়ায় এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হবে।

অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০ এর আওতায় বেজা বোর্ড গঠন করা হয়।

১৫ বছরে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের মাধ্যমে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করে  বছরে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা যাবে বলে বৈঠকে বলা হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বৈঠকে ছিলেন।

বৈঠকের শুরুতে বেজার নির্বাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী কার্যক্রম তুলে ধরেন।

এর আগে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ ১৪টি বার্ষিক প্রতিবেদন, একটি বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদন, ছয়টি উপযোজন হিসাব প্রতিবেদন, দুটি আর্থিক হিসাব প্রতিবেদনসহ মোট ২৩টি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।