বিদ্যুতের দাম বাড়লেও বোঝা বাড়বে না: প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুতের দাম বাড়ার ইংগিত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দাম ‘সামান্য’ বাড়লে তা জনগণের জন্য ‘বোঝা হবে না’।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2015, 02:18 PM
Updated : 3 Feb 2015, 02:18 PM

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর এ ইংগিত আসে।  

নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকার জনস্বার্থ বিবেচনা করে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে থাকে। বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি দাম বাড়ানোর জন্য বিইআরসিকে (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।

“তাই বিদ্যুতের দাম সামান্য বাড়ানো হলেও তা জনগণের জন্য বোঝা হবে না। বরং এতে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ কমবে”, বলেন প্রতিমন্ত্রী।

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সর্বশেষ গতবছর মার্চে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়ানো হয়। তার আগের পাঁচ বছরে খুচরা ও পাইকারি মিলিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় ১১ দফা।

গত ডিসেম্বরেও এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, মানুষের আয় বাড়ছে, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে; সাথে সাথে বিদ্যুতের দামও ‘অ্যাডজাস্ট’ করতে হবে।

নতুন করে দাম বাড়াতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি গণশুনানি শুরু করে বিইআরসি। এতে পিডিবি, পিজিসিবি, ওজোপাডিকোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

এসব কোম্পানিকে ‘ব্যয়ের তুলনায় কম দামে’ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মঙ্গলবার সংসদে বলেন, “ঘাটতি পূরণের জন্য সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়। বিদ্যুত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার নির্ধারিত দামে বিভিন্ন বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য জ্বালানি সংগ্রহ করে থাকে। ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমবেশি হলেও বিদ্যতের উৎপাদন ব্যয়ে কোনো তারতম্য হয় না।”

২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা ভুর্তকি দিতে হয়েছে বলেও তিনি সংসদকে হিসাব দেন। 

শওকত চৌধুরীর এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ ৬ টাকা ৩৩ পয়সা এবং বিক্রয় মূল্য ৪ টাকা ৬৭ পয়সা।

আর এই দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় কম বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী জুনের মধ্যে তিতাস গ্যাসের আট হাজার ৬০০টি মিটারকে প্রি-পেইডে রূপান্তর করা হবে। এছাড়া তিতাস গ্যাসের দুই লাখ এবং কর্ণফুলী গ্যাসের ১০ হাজার আবাসিক মিটারকে প্রি-পেইডে রূপান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।

দুটি প্রস্তাব একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে তিনি জানান।

সংযোগের অপেক্ষমান শিল্পকারখানাগুলোকে আগামী মাস থেকে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে বলে সাংসদ শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নে নসরুল হামিদ জানান।