রোববার সচিবালয়ে বেসরকারি সংস্থা ‘হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি জোট গত ৫ জানুয়ারি থেকে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বিরতি দিয়ে হরতালও করছে তারা।
লাগাতার অবরোধে বাজেটে নগদ অর্থ সরবরাহের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে- এই প্রশ্নে মুহিত বলেন, “শুধু বাজেট নয়, সব কিছুর ওপরই এর প্রভাব পড়বে। মানুষের কাজ-কর্ম বন্ধ, দেশের উন্নতি হবে কিভাবে? এটা দেশের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।”
এজন্য অবরোধ আহ্বানকারী খালেদা জিয়া ‘দেশের শত্রু’ আখ্যায়িত করেন তিনি।
হরতাল-অবরোধের কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমানো হবে বলেও ইঙ্গিত দেন অর্থমন্ত্রী।
“করতে (লক্ষ্যমাত্রা কমানো) তো হবেই। বাজেট ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হতে পারে।”
কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বাজেট বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর অর্থ বছরের সার্বিক বিষয়টি পর্যালোচনার কাজ শুরু হবে।
বিএনপি লাগাতার অবরোধ শুরুর পর মুহিত বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ওই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা এক ধরনের প্রত্যাশা ছিল। বিএনপি একটি সেনসিবল রাজনৈতিক দল, দেশের ক্ষতির কথা ভেবে তাদের সেনসিবল কর্মসূচি দেওয়া উচিত, কিন্তু তারা স্টুপিড কর্মসূচি দিচ্ছে।”
পরিস্থিতি উত্তরণে সংলাপ হবে কি না- এই প্রশ্নে মুহিত বলেন, “আমি এখনো বিশ্বাস করি সমাধান সম্ভব। তবে সংলাপ কিংবা আলোচনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি যুক্ত নই।
“খালেদা জিয়া দেশের একমাত্র নেত্রী নন। বিএনপিকে এপথ থেকে বের করে নিয়ে আসার জন্য দলের অন্য নেতাদের উচিত খালেদা জিয়াকে চাপ দেওয়া।”