দেশে দারিদ্র্যের হার ২৪.৭%: পরিকল্পনামন্ত্রী

দেশে মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে এবং দারিদ্র্যের হার কমছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2015, 06:35 PM
Updated : 22 Jan 2015, 06:35 PM

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান তিনি।

দিদারুল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ২০১৪ সালের প্রাক্কলিত হিসাব অনুযায়ী দেশে দারিদ্যের হার শতকরা ২৪ দশমিক ৭ ভাগ।

তিনি জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ খানাভিত্তিক আয় ও ব্যয় জরিপ ২০১০ অনুযায়ী দেশে দারিদ্রের হার শতকরা ৩১ দশমিক ৫ ভাগ, যা  ২০০৫ সালে ছিল শতকরা ৪০ ভাগ।

এম আবদুল লতিফের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম ২০১৩ সালের ফল অনুযায়ী দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ দশমিক ১ বছর। ২০১২ সালের এটা ছিল ৬৯ দশমিক ৪ বছর, যা তার আগের বছর ছিল ৬৯ বছর।

আটকে পড়ার পাকিস্তানির হালনাগাদ তথ্য নেই

জনশুমারি না হওয়ায় বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের বর্তমান পরিসংখ্যান নেই বলে জানিয়েছেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

নুর জাহান বেগমের তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার জোর পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় পাকিস্তানকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবার জন্য অনুরোধ করে এসেছে।

অগ্রগতি তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আটকে পড়ার পাকিস্তানি নাগরিকদের সম্প্রতি কোনো জনশুমারি না হওয়ায় বর্তমানে তাদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব নয়। তবে ১৯৯২ সালে তাদের সংখ্যা ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪০ জন বলে জানা যায়।”

তিনি জানান, ২০০৮ সালে আদালতের আদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের সন্তানদের যারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ-এর পরে জন্ম নিয়েছে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পায়। এতে ১ লাখ ৬০ হাজার উর্দুভাষী আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিক ভোটার হয়েছে বলে জানা গেছে।

তিন পার্বত্য জেলায় ১৬ লাখ লোক

নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং জানান, ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুসারে তিন পার্বত্য জেলায় মোট জনসংখ্যা ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৯ জন। এরমধ্যে আাদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৮ লাখ ৫২ হাজার ৫৪০ জন এবং বাঙ্গালীর সংখ্যা ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৪৯ জন। রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা বাঙ্গালীর তুলনায় বেশি হলেও বান্দরবানে বাঙ্গালীর সংখ্যা দেড়গুনেরও বেশি।        

বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।