শনিবার বেলা ২টার দিকে কলম্বো বন্দরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চার নম্বর জেটি ছেড়ে শিপিং করপোরেশনের জাহাজটি।
এর আগে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার খান বলেন, শ্রীলঙ্কার সাথে ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানি চুক্তির সাড়ে ১২ হাজার টন চাল আজ (শনিবার) যাচ্ছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে যাবে বাকি সাড়ে ১২ হাজার টন চাল।
“আমাদের দেশের সামগ্রিক খাদ্য চাহিদা বিবেচনায় চাল মজুদ রাখার ‘সেফটি লেভেল’ হল নয় থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন।
“গত চার-পাঁচ বছর ধরে সেফটি লেভেল বজায় রেখেও প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন চাল আমাদের হাতে আছে।”
আরো প্রায় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানি করার সুযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে সারোয়ার বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন চাল আমদানি করার প্রস্তাব এসেছে।
“খুব শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য ভারত একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে।”
চাল রপ্তানির ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার খান বলেন, “আমরা আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহ করা শুরু করেছি। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে কোন প্রভাব পড়বে না।”
‘বাংলার কাকলী’কে বিদায় জানাতে চার নম্বর জেটিতে আরো উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) তোফাজ্জল হোসেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল আজিজ মোল্লা ও খাদ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম।