২০১৩ সালজুড়ে সহিংসতার পর এক বছর পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও আগামী বছরে ফের রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা দেখে বুধবার ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, “ব্যবসায়ীদের চাহিদা হল দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় থাকা। এজন্য আমরা আসন্ন দিনগুলোতে নতুন কোনো রাজনৈতিক সংঘাত, হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি দেখতে চাই না।”
মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহ-সভাপতি শোয়েব চৌধুরীসহ পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সামগ্রিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবেলায় সরকারের কাছে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিসিসিআই।
হোসেন খালেদ বলেন, আমলাতন্ত্র, নানা প্রতিবন্ধকতা ও ব্যবসাবান্ধব নীতির অভাবে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ কম হচ্ছে।
বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত না হলে বিদেশি বিনিয়োগও আসবে না। এতে প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।
শিল্প খাতে গতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
হোসেন খালেদ বলেন, “অনেক নতুন শিল্প বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগের অভাবে উৎপাদনে যেতে পারছে না। আবার ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের কারণে অনেকের ব্যবসা দাঁড়াতে পারছে না।”
“সারাদেশে যানজটের কারণে হাজার হাজার কর্ম ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। প্রতিদিন ৩২ লাখ ঘণ্টা বাণিজ্যিক সময় এবং বছরে ১১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকার জ্বালানি নষ্ট হচ্ছে।”
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেইনে উন্নীত করার কাজে দেরি হওয়ায় বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে দাবি করে ডিসিসিআই সভাপতি এই মহাসড়কের পাশাপাশি জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানান।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোকে স্বাগত জানালেও তার জন্য অর্থ জোগাতে ব্যবসায়ীদের ওপর নতুন করারোপ না করার আহ্বান জানান হোসেন খালেদ।