মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের নির্বাহী পর্ষদের সভায় এই ঋণ অনুমোদন করা হয়।
ঋণদাতা সংস্থাটি বলছে, এই তিন প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।
এর মধ্যে তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৪০ কোটি ডলার, দুর্যোগকালীন বহুমুখি আশ্রয় কেন্দ্র প্রকল্পে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আরো ৩০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ।
বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির এই ঋণ শোধ করতে হবে ৩৮ বছরে। এই ঋণের পর ০.৭৫ শতাংশ হারে ‘সার্ভিস চার্জ’ প্রযোজ্য হবে। তবে প্রথম ছয় বছর কোনো অর্থ দিতে হবে না।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক ২০১২ সালে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি বাতিল করলেও ২০১২-১৩ অর্থবছরে কয়েকটি প্রকল্পে ১৬০ কোটি এবং গত অর্থবছর ১৯০ কোটি ডলার অনুমোদন করে।
বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জাট বলেন, অনুমোদিত তিন প্রকল্পের আওতায় শিশুদের পুষ্টিহীনতা রোধে দরিদ্র মায়েদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে এবং উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো সৃষ্টি হবে।
“চলমান তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য আরো ৪০ কোটি ডলার অর্থায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের হার ৮০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।”
বিশ্ব ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে অতিরিক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে ১ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে স্কুলমুখি করার পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় এলাকায় ৫৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, এখনকার ৪৫০টি কেন্দ্রের সংস্কার ও উন্নয়ন এবং এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সহজে পৌছানোর জন্য সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।