শুক্রবার চকপাড়ায় এ হিমাগারের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সামজিক দায়বদ্ধতার আওতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম. মনজুর হোসেন এটি তৈরিতে কাজ করেছেন।
৩০০ টন ধারণ ক্ষমতার এই হিমাগারটি তৈরিতে ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
আকাফুজি গবেষণা নার্সারিতে নির্মিত এই সংরক্ষণাগারের নামকরণ করা হয়েছে সাবেক সাংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা শাহ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর নামে- শাহ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রাকৃতিক সংরক্ষণাগার।
উদ্বোধন শেষে গভর্নর বলেন, প্রকৃতির দান আর মানুষের জ্ঞানের সমন্বয় হচ্ছে এই অনবদ্য সৃষ্টি। একে হিমাগার না বলে প্রাকৃতিক সংরক্ষণাগার বলাই ভালো।
হিমাগারের উদ্ভাবক অধ্যাপক এম. মনজুর হোসেন বলেন, গাছ শিকড়ের মাধ্যমে পানি তুলে পাতার মাধ্যমে বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় নিজেকে ঠান্ডা রাখে। এজন্য গাছের পাতা খরতাপের ভেতরেও ঠান্ডা থাকে।
অধ্যাপক মনজুর হোসেন জানান, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৯৩ সালে তার পাঁচ বিঘা জমি এই গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে দিয়েছেন। সেই জমিতেই হিমাগারটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে তিনি মারা যান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক জিন্নাতুল বাকেয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চৌধুরী সারোয়ার জাহান, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম ওসমান গনি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান, রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান একেএম রফিউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।