সংসদে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিল পাস

সামরিক সরকারের আমলে জারি করা ‘রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক অর্ডিন্যান্স-১৯৮৬’ বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2014, 02:57 PM
Updated : 24 Nov 2014, 02:57 PM

সোমবার সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ‘রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিল-২০১৪’ প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।  

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি এবং কৃষি ভিত্তিক কর্মকাণ্ডে ঋণ বিতরণের মাধ্যম কৃষি অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।

“দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে প্রতিনিয়ত কৃষি জমি হ্রাসের প্রেক্ষাপটে ব্যাংক অঞ্চলভিত্তিক কৃষি, ব্যবসায়িক ও আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনা বিবেচনায় ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সম্প্রসারণে সমধিক গুরুত্ব আরোপ করছে।”

গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। পরে এটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সামরিক শাসনামলে নেওয়া বিভিন্ন অধ্যাদেশ পরিবর্তন ও বাতিল করার কাজ শুরু করে। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৬ সালের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করার প্রস্তাব করা হয়।

পাস হওয়া বিলে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা করার বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে যা ছিল ৫০ কোটি টাকা।

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের পরিচালক হিসেবে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বিলে।

এই দুই বিভাগের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রাজশাহী মৎস্য অধিদপ্তর ও রংপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালকদের রাখার প্রস্তাবও করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত নয় এমন ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে সরকার ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবে।

কৃষিজীবী, মৎস্যজীবী, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগী প্রতিপালনকারী, কুটির শিল্প, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ শিল্পসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিল্পে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাংক কোনো বস্তু ভাড়ায় গ্রহণ, ভাড়ায় প্রদান বা গুদামজাতকরণের সুবিধা দিতে অগ্রিম প্রদানসহ নগদে বা দ্রব্যে ঋণ দিতে পারবে।

কোনো পরিচালক বা তার স্বার্থ জড়িত আছে এমন প্রতিষ্ঠানে জামানত ছাড়া ঋণ দেওয়া যাবে না বলেও বিলে বলা হয়েছে।