মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে সার্কুলার জারি করে প্রভিশনের সংশোধিত হার জানায় ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
তবে এই দুই খাতে বিতরণ করা খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে এই সুযোগ প্রযোজ্য হবে না।
এর অর্থ হলো- কোনো ব্যাংক কাউকে স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ অথবা ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে ১০০ টাকা দিলে তার বিপরীতে ওই ব্যাংককে দুই টাকা ৫০ পয়সা প্রভিশন হিসাবে আলাদা করে রাখতে হবে, যা আগে ছিল ৫ টাকা।
সর্কুলারে এই দুইখাতে বিতরণ করা ঋণের মধ্যে সন্দেহজনক ও নিম্নমানের শ্রেণিকৃত (খেলাপি) ঋণগুলোর ক্ষেত্রে প্রভিশনের হার আগের ৫ শতাংশ এবং মন্দ বা ক্ষতিজনক মানে খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা বহাল রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ২৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, যা ব্যাংকিং খাতের বিতরণ করা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ।