নাম প্রকাশে অনীহা জানিয়ে ইসলামী ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যাংকের এক লাখ ১৯ হাজার ৫৩৪টি শেয়ার রয়েছে মীর কাসেম আলীর নামে।”
বর্তমান বাজার মুল্যে এই শেয়ারের দাম প্রায় ৩২ লাখ টাকা। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ার ২৬ দশমিক ৫০ টাকা দরে বিক্রি শেষ হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রামের আল-বদর বাহিনীর কমান্ডার মীর কাসেম ১৯৯১ সালে প্রথম ইসলামী ব্যাংকের মাত্র ১৭টি শেয়ার কেনেন।
এরপর এটি বাড়তে বাড়তে বর্তমান আকারে দাঁড়ায় বলে ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা জানান।
ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।
মীর কাসেম আলী ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাকালীন ভাইস চেয়ারম্যান।
ব্যাংকটির স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের প্রতিনিধি হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি।
পরবর্তীতে ইবনে সিনা ট্রাস্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন মীর কাসেম।
বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মীর কাসেম।
রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে।
একাত্তরে চট্টগ্রামে নৃশংসতা চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টিকারী আলবদর, রাজাকার ও আল শামস বাহিনীর নেতৃত্ব দেন মীর কাসেম আলী। স্বাধীন বাংলাদেশে তার যোগানো অর্থে শক্ত আর্থিক ভিত্তি পায় জামায়াতে ইসলামী।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ১৯৮৫ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অর্থৎ মজলিসে শুরার এই সদস্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের ১৪টি অভিযোগের আটটি সন্দেহাতীতভাবে ও দুটি আংশিক প্রমাণিত হয়েছে। ওই দুটি অভিযোগেই তার ফাঁসির রায় এসেছে।