শুক্রবার রাজধানীতে ‘হোম ইকনোমিক্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ বা ‘বাংলাদেশের গার্হস্থ্য অর্থনীতি সমিতি’ নামে নারীদের এই সংগঠনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
সকালে আজিমপুরে কলেজ প্রাঙ্গণে অভিষেক অনুষ্ঠানে ঘণ্টা বাজিয়ে এই সমিতির উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌসকে চেয়ারপারসন এবং কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক ফাতিমা সুরাইয়াকে মহাপরিচালক করে সমিতির ১৩ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী বলেন, “সভ্যতার শুরু হয়েছে সংগঠন দিয়ে। উন্নয়নের জন্য সংগঠন খুবই জরুরি। আমি আশা করব, এই সংগঠন হোম ইকোনোমিক্সের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদুত ড্যান ডব্লিউ মজিনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “নারীরা সব ক্ষেত্রেই এগোচ্ছে। তবে এটা মনে রাখতে হবে, সৃজনশীলতার জন্য নারী-পুরুষ সবার সমান অংশগ্রহণ দরকার।”
মজিনা বলেন, “ গার্হস্থ্য অর্থনীতি এখন আর শুধু রান্না আর সেলাইতে সীমাবদ্ধ নয়। এ শিক্ষাব্যবস্থা এখন সমাজ ও শিশুদের উন্নয়ন এবং অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় চলে এসেছে। এই শিক্ষাব্যবস্থা সবাইকে শেখাচ্ছে কীভাবে সুখী ও কর্মময় জীবন চালানো যায়।”
এছাড়াও সমিতির সভাপতি নাসিম ফেরদৌস, মহাপরিচালক ফাতিমা সুরাইয়া, কলেজের অধ্যক্ষ শামছুন নাহার, সাবেক অধ্যক্ষ শাহরিন আহমেদ, নকশাবিদ বিবি রাসেল, সাবেক সাংসদ রুমানা মাহমুদ ও সংগঠনের সহ-সভাপতি ফিরোজা সুলতানা বক্তব্য রাখেন।
সমিতির নেতারা বলেন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি শিক্ষাকে স্ব মহিমায় প্রতিষ্ঠিত করা এবং জাতীয় অগ্রসরতায় সহায়ক উপাদান হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে এই সমিতি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে একই ধরনের অন্যান্য সমিতির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যেমে বাংলাদেশের এই শিক্ষাকে বৈশ্বিক পরিসরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে সমিতি।
নির্বাহী কমিটি ছাড়াও সমিতিকে সহায়তা করার জন্য ১২ জনের এক উপদেষ্টা কমিটিও রাখা হয়েছে।
ফাতিমা সুরাইয়া জানান, ৪০০ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই সমিতিতে গার্হস্থ্য অর্থনীতির যে কোনো প্রাক্তণ ছাত্রী এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন। আগ্রহীদের কলেজ থেকে নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে বিধি অনুযায়ী জমা দিতে হবে।
১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই বিষয়ের শিক্ষা শুরু হয়। পরে চাহিদা বাড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেও বিভিন্ন কলেজে বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে।