রোববার রাজধানীতে জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এনইটিজেড বা নেটজ আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “বেসরকারি সংস্থাগুলো দেশের প্রচলিত আইন মেনে কাজ করলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে আরো উৎসাহিত করা হয়।
“দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকার-বেসরকারি যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকার ও এনজিওগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ অনেক সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে।”
সেমিনারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা জো এনসেলমো, বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি রওউইথা আমেলস বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া সেমিনারে দারিদ্র্যের চরম দুর্দশা ডিঙিয়ে সাবলম্বী হওয়া উত্তরবঙ্গের তিনজন নারীকে অভিজ্ঞতা বর্ণনার সুযোগ দেয়া হয়।
সেমিনারে ‘অতি দরিদ্র্য অবস্থা থেকে মানবিক মর্যাদায়: নেটজ অভিজ্ঞা’ (ফ্রম এক্সট্রিম প্রোভার্টি টু হিউম্যান ডিগনিটি: দ্য নেটজ এক্সপেরিয়েন্স) শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম।
নেটজ দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি এবং প্রকল্প এলাকায় এর প্রভাব তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ মঙ্গাপীড়িত উত্তরাঞ্চল ও ভারতের কিছু এলাকা নিয়ে কাজ করছে নেটজ ও ইইউর অধীনে থাকা কয়েকটি সহপ্রতিষ্ঠান।
নেটজ-এর নির্বাহী পরিচালক পিটার ডিজেল-এর সঞ্চালনায় সেমিনারে দেশি-বিদেশি অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
সংস্থাটির কাট্রি ডিরেক্টর হাবিবুর রহমান বলেন, “১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশের অতি দরিদ্র্য এলাকাগুলোতে কাজ করে যাচ্ছে এনইটিজেড বা নেটজ। সংস্থাটি তার স্বল্প জোগান নিয়ে প্রায় দুই লাখ মানুষের মাঝে সেবা পৌঁছে দিয়েছে।
“পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার করে কৃষি উন্নয়ন, মানুষকে সঞ্চয়ে অভ্যস্ত করার পাশাপাশি তাদের আয় বৃদ্ধি করে গ্রামীণ অঞ্চলের দারিদ্র্য দূরীকরণে আশাব্যঞ্জক ভূমিকা রেখেছে।”
অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের বিধান চন্দ্র এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কৌশিক ব্রহ্মচারী, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন সেন্টারের ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলীসহ অন্যান্য অতিথিরা গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে নিজেদের মন্তব্য জানান।