২০১৬ সাল থেকে তা চালু করতে নতুন একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন।
নতুন ব্যবস্থাটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে বর্তমান প্রচলিত পদ্ধতিতে রিটার্ন জমা দিতে হবে না। একই সঙ্গে যে কোনও ব্যাংকে করের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন করদাতারা।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহযোগিতায় নতুন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এফটিপি ইনফরমেশন সিস্টেম কর্পোরেশন নামের ভিয়েতনামের একটি প্রতিষ্ঠান।
রোববার বিকালে প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে গোলাম হোসেন বলেন, “আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ করদাতারা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। তবে যে কোনও উপায়ে এটি ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হওয়ার পর বর্তমান ব্যবস্থায় রিটার্ন দাখিলের সুযোগ থাকবে না।
“এছাড়া বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু এ পদ্ধতি চালু হলে করদাতারা যে কোনও ব্যাংকের মাধ্যমে যাতে তাদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।”
“কর ব্যবস্থার অটোমেশনের পর আগামী চার বছরে কেবল আয়কর আদায় দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে। গত ৫ বছরে আয়করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০৯ শতাংশ। সে জন্য সঙ্গত কারণেই এটি সম্ভব।”
সেক্ষেত্রে ‘উইথহোল্ডিং কর’ আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
সাংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এনবিআরের একজন সদস্যের নেতৃত্বে নতুন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম সাত-আট মাসে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ কয়েকটি বড় কর এলাকায় পাইলট ভিত্তিতে অনলাইনে কর রিটার্ন কার্যক্রম চালু করা হবে। এর পর সব কর অঞ্চলে একযোগে এ ব্যবস্থা চালু করা হবে।
এর আগে বেশিরভাগ শুল্ক স্টেশনে এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড নামে অনলাইনে শুল্কায়ন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এছাড়া কিছুদিনের মধ্যে অনলাইন ভ্যাট নামেও একটি প্রকল্প শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গোলাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার ছাড়াও এডিবি ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।