পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গ্রাহকের চাহিদা না থাকলেও বুধবার কলমানিতে ৭ হাজার ৮১৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, এসব লেনদেনে গড় সুদ হার ছিল ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ সুদ হার ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ আর সর্বনিম্ন সুদ হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২ অক্টোবর সর্বশেষ পুরোপুরি লেনদেন করেছে। এরপর টানা পাঁচ দিনের ছুটির পরে বুধবার পুনরায় পুরোপুরি লেনদেনে ফেরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
এদিন রাজধানীর ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বা নগদ টাকার চাহিদা না থাকলেও ব্যাংকগুলো কলমানিতে ঠিকই লেনদেন করেছে।
ব্যাংককাররা বলছেন, গ্রাহকের চাহিদা না থাকলেও ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ ঋণ মেটাতেই কলমানিতে ধার করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল আহমেদ চৌধুরী বলেন,“ক্লিয়ারিং হাউজে পড়ে থাকা চেকের বিল মেটাতে অনেক ব্যাংককে ধার করতে হয়েছে। অনেক ব্যাংক আগের চেক পেমেন্ট না করে হোল্ড করেছিল। কিন্তু সেগুলো এখন দিতে হবে। কিন্তু ট্রেজারিতে সমপরিমাণ নগদ টাকা নেই। সেজন্য গ্রাহকের চাহিদা না থাকলেও কলমানিতে মোট লেনদেন এখনও আগের মতো আছে।”
তবে দু-একদিনের মধ্যে এই পরিস্থিতি আর থাকবে না বলে তিনি মনে করেন।
কলমানি বিষয়ক বাংলাদেশ ব্যাংকের বুধবারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বুধবার মোট ৪৩টি ব্যাংক ও ২৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কলমানিতে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে ৩১টি ব্যাংক ধার করেছে, আর ধার দিয়েছে ৩২টি ব্যাংক। যেখানে ধার নেওয়া ও দেওয়া দুটোই করেছে ২০টি প্রতিষ্ঠান।
ব্যাংকগুলো মোট পাঁচ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ নিয়েছে ২ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা।