গত শনিবার নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে একটি হোটেলে উপদেষ্টা পরিষদের দ্বিতীয় সভায় গবেষণামূলক এই সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন গভর্নর।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, ভারত এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে এই রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
অর্থনীতির গতানুগতিক ধারাকে যুগোপযোগী করার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অর্থনীতিকে মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে এক বছর আগে ‘জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির’ (ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম-ইউনেপ) উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠিত হয়।
১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
আতিউর রহমান তার প্রস্তাবনায় বলেন, “পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সব ব্যবসায়ীর জন্য সুযোগ অবারিত করতে হবে এবং আর্থিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ ধরনের পরিকল্পনার সুফল ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ পেতে শুরু করেছে।”
এ ক্ষেত্রে কৃষিখাতে অর্থায়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অর্থ সহায়তা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতি বেশি নজর দিতে বলে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের উদ্যমী মানুষদের নানাভাবে সহায়তা করছে এবং প্রয়োজনবোধে ভর্তুকিও দিচ্ছে।
“মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন পরিকল্পনায় সরকারের সহায়তার কারণে এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ তার বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ওপরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।”
পরে আতিউর রহমানের উপস্থাপিত রূপরেখার ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাসেল কাইট, কানাডা কো-অপারেটর্স গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ক্যাথি বার্ডসউইক, বাইটারেক উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান কুয়ান্ডিক বিশিমবিয়েভ, এইচএসবিসি ভারতের জেনারেল ম্যানেজার নাইনা কিদওয়াই, উগান্ডার অর্থমন্ত্রী মারিয়া কিয়াউনোকা, আইএমএফের সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জন লিপস্কি, ব্রাজিল ফেডারেল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মুরিলো পর্তুগাল, জোহানেসবার্গ স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী নিকি নিউটন-কিং, সুইজারল্যান্ডের পরিবেশমন্ত্রী ব্রুনো অবারলেসহ বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ, বিনিয়োগকারী, আইন প্রণেতারা।