আইএমএফের ঋণ: মেয়াদ বাড়াতে রাজি নন মুহিত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে দেয়া বর্ধিত ঋণ সুবিধার (ইসিএফ) মেয়াদ বাড়াতে চাইলেও তাতে রাজি নন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2014, 01:29 PM
Updated : 23 Sept 2014, 01:29 PM

মঙ্গলবার দুপুরে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

রডরিগো কিউবেরোর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল ইসিএফের শর্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি মূল্যায়নে বাংলাদেশ সফর করছে।

২০১২ সালের ১১ এপ্রিল অনুমোদিত এ প্রকল্পের আওতায় ছয় কিস্তিতে বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ। এ পর্যন্ত চারটি কিস্তি ছাড় করেছে সংস্থাটি। আগামী নভেম্বরে ইসিএফের পরবর্তী কিস্তি ছাড় করার কথা রয়েছে।

ফাইল ছবি

মুহিত বলেন, “আইএমএফ ইসিএফ প্রকল্পটি বাড়াতে চেয়েছে। তারা জানিয়েছে টাকা বাড়বে না। এজন্য ব্যক্তিগতভাবে এটা আমি বাড়াতে চাই না। আমি আরও দরকষাকষি করতে চাই। এছাড়া এর আর প্রয়োজনও নেই। তবে এর (ইসিএফ) পরিবর্তে নতুন করে আইএমএফের সাথে অন্য কোন প্রকল্প চালু করা যেতে পারে।

অর্থমন্ত্রী জানান, এই ঋণের শর্ত হিসাবে আইএমএফ ভ্যাট আইন ২০১৫ সালে র্কাযকর করতে বলেছে। কিন্তু প্রতিনিধি দলকে তিনি জানিয়েছেন, এ আইন ২০১৬ সালে কার্যকর করা হবে।

“আমরা নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখলাম এটা ক্রমান্বয়ে হওয়া উচিত। কিছু রেট পরিবর্তন হবে। আইএমএফ বলেছে ২০১৬ সালের নতুন কার্য পরিকল্পনা তাদের জানাতে।”

আগের চুক্তিতে ইসিএফের মেয়াদ না বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমার দরকার টাকার, যখন টাকা বাড়বে না তখন এই প্রকল্প বাড়িয়ে লাভ কি? এছাড়া এখন আমরা রেডি নই। পে কমিশন আগামী ডিসেম্বরে রিপোর্ট দেবে। তাতে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে সরকারের বিভিন্ন খাতে। পে কমিশনের রিপোর্ট স্টাডি করে দেখব। এছাড়া ভ্যাট আইন ও বাজেটেও কিছু পরিবর্তন আসবে। তারপর তাদের সঙ্গে  জুলাইয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।”

পে কমিশন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “কমিশনের সুপারিশ সহজে বাস্তবায়নযোগ্য হলে এটি কার্যকর করতে সময় লাগবে না। আর যদি রিপোর্ট সংস্কার করতে হয় তাহলে কিছুটা সময় লাগবে। তবে যখনই বাস্তবায়ন করি না কেন, ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে।”

বিশ্ব ব্যাংক আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে, যাতে মুহিত নিজেও অংশ নেবেন।