এক যৌথ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে রেকর্ড ৯৪৪ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে।
অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-অগাস্ট) সংস্থাটি ৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ছাড় করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থছাড়ের পরিমাণ গত চার বছর ধরেই বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষণে বলা হলেও গত বছর অর্থছাড়ের বিষয়টি নতুন উচ্চতায় পৌঁছার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
অর্থছাড় বাড়ার ধারা চলতি অর্থবছরেও অব্যাহত রয়েছে বলে পর্যালোচনায় বলা হয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হলেও পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে সরে যায় সংস্থাটি। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের দূরত্বও সৃষ্টি হয়।
১২ হাজার কোটি টাকায় চার বছরে মূল সেতু নির্মাণে গত ১৭ জুন চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার।
সর্বশেষ গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের নদী শাসনের কাজ দেয়া আরেকটি চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে। এছাড়া সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজও চলছে।
সরকার বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে প্রতি ছয় মাস অন্তর নির্দিষ্ট প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করে।
সংস্থাটি বলছে, উন্নয়ন প্রকল্পে গতিসঞ্চার এবং অর্থছাড় বাড়াতে তারা সচেষ্ট।
বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকার কার্যালয়ের অপারেশন্স অ্যাডভাইজর ক্রিস্টিন কিমেস বলেন, “প্রকল্পের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হওয়া ও সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি ভালো উপায় হচ্ছে ‘প্রকল্প পর্যালোচনা’।”