এই পরিমাণ কর এর আগে কখনো আদায় হয়নি বলে সোমবার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন।
তিনি বলেন, “আমরা যা প্রত্যাশা করেছিলাম, মেলা থেকে তার চেয়েও বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, দেশের মানুষের মধ্যে কর দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।”
অফিসার্স ক্লাবের মেলার শেষ দিনেও দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। মেলায় কর আদায় ছাড়াও ই-টিআইএন নিবন্ধন এবং আয়কর বিবরণী জমা নেওয়াও একসঙ্গে চলে। করদাতাদের বিভিন্ন পরামর্শও দেওয়া হয়।
এবারের মেলায় দেড় হাজার কোটি টাকা কর আদায়ের প্রত্যাশা ছিল এনবিআরের, তবে আদায়ের পরিমাণ তার ছাড়িয়ে গেছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থপ্রতিমন্ত্রী এ এ মান্নানও আয়কর মেলার আয়োজন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেলার শেষ দিনে সারাদেশে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৫২ জন করদাতাকে সেবা দেওয়া হয়।
এর মধ্যে নতুন করদাতা হিসেবে নিবন্ধিত হন ৩ হাজার ৬৬ জন। ই-টিআইএন পুনঃনিবন্ধন করেছেন ১ হাজার ৬৪০ জন। মেলায় আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) জমা পড়েছে ৩৪ হাজার ৫৩৯টি। আয়কর আদায় হয়েছে ৩৫৯ কোটি ৮৩ লাখ ২৭ হাজার ১৮৮ টাকা।
সারাদেশে মেলার পুরোটা সময়ে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৫ জন করদাতাকে সেবা দেওয়া হয়েছে, যা গত বারের চেয়ে ২৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।
এবার নতুন করদাতা হিসেবে সর্বমোট নিবন্ধিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯০৭ জন, যা গত বছরের মেলার চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি।
এবার ই-টিআইএন পুনঃনিবন্ধন করেছেন ১০ হাজার ৮৩৮ জন। মেলায় মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩০৯টি আয়কর বিবরণী জমা পড়েছে। এই সংখ্যা গতবারের চেয়ে ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
এবারের মেলায় মোট আয়কর আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫১ টাকা, যা গতবারের মেলার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।