বাংলাদেশকে চায় চীন-ভারত উভয়ই: গওহর রিজভী

হয় ভারত, নয় চীন- গতানুগতিক এই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে ‘যুগপৎভাবে’ উভয় দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশ ‘চমৎকার’ সম্পর্ক রেখে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2014, 12:50 PM
Updated : 20 Sept 2014, 02:28 PM

শনিবার রাজধানীতে প্রস্তাবিত বিসিআইএম ইকোনমিক করিডোর নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীন ও ভারত- উভয় দেশ আমাদের উৎসাহ দেয় এবং সহযোগিতা করে।”

বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের (বিসিআইএম) প্রতিনিধিদের নিয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর ইস্ট এশিয়া ফাউন্ডেশন।

রিজভী বলেন, বিসিআইএম ইকোনমিক করিডোর স্থাপনকে ‘উচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবে বিবেচনা করে ঢাকা।

“কারণ আমরা এই অঞ্চলের সংযোগের কেন্দ্রস্থল হতে চাই। … আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ নির্ভর করে বাংলাদেশকে সংযোগের কেন্দ্রস্থল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উপর।”

বিসিআইএম ইসি বাস্তবায়নে চারটি দেশকেই একসঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে চীনের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কিউ গুয়াংয়ঝো এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিন্ট থান সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ও ভারতীয় হাই কমিশনের ডিফেন্স অ্যাটাশেও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। 

আগামী মাসে কক্সবাজারে বিসিআইএমের দ্বিতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

উপদেষ্টা রিজভী বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক সংঘর্ষ বা ক্ষমতার রাজনীতিতে জড়িত হতে চায় না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয় নীতিতে অটল।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক সংযোগের কেন্দ্রবিন্দু হতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বিসিআইএম।

চীনের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গুয়াংঝো বলেন, অর্থনৈতিক করিডোরের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে বিসিআইএমকে সবগুলো দেশের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত।

এটাকে দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতিগত প্রকল্প আখ্যা দিয়ে ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়িত হবে বলে জানান তিনি।