বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান।
বৈঠকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে মুহিত বলেন, “এটা আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ওপর নির্ভর করে। এটি (প্রস্তাব) জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে এলে বোঝা যাবে, আমরা ইনিশিয়েট করব না।”
বৈঠক আগামী ছয় মাসের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল (ফার্নেস অয়েল ও গ্যাস ওয়েল) আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো-কমানোর সিদ্ধান্ত আগেই হয়ে আছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বাড়ানো হয়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। সেবার পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়।
“বন্ড-টন্ড নেয়ার এর সঙ্গে এর (পদ্মা সেতু) কোনো সম্পর্ক নেই। বন্ড যদি উঠাই ইটস নট ফর পদ্মা সেতু; বন্ড যদি উঠাই তাহলে তা আদার পারপাস, যদি করি।”
দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর অর্থায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, “৫ হাজার কোটি টাকা পদ্মা সেতু নির্মাণে দেব। গত বছরে ডেভলপমেন্ট বাজেট ৬৫ হাজার কোটি টাকা ছিল, এবছর করা হয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকা, এখানে ৫ হাজার কোটি টাকা কিছু না; ৫ হাজার ইজ নাথিং।”
১২ হাজার কোটি টাকায় চার বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চীনা কোম্পানি মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। গত ১৭ জুন এই চুক্তি করা হয়।
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ‘ঢাকা সিটি কর্পোরেশন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিবাস’ প্রকল্পের আওতায় দয়াগঞ্জ ক্লিনার্স কলোনিতে পাঁচটি ১০ তলা ভবন নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
এর পাশাপাশি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার নাগরপুর-মির্জাপুর ভায়া মোকনা সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ১২০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পেরও ছাড়পত্র দেয়া হয়।