এর মধ্যে একটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং এলাকায় গড়ে তোলা হবে ‘এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন’।
আর অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল উপলের স্থানে একটি ‘আন্তর্জাতিকমানের ট্যুরিজম কমপ্লেক্স’ গড়ে তোলা হবে।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এ দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভার সারসংক্ষেপে বলা হয়, সাবরাংয়ে ‘এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোনে’ একাধিক হোটেল, কটেজ, বিচ ভিলা, নাইট ক্লাব, কনভেনশন হল, অ্যামিউজমেন্ট পার্কের মতো সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
এই ট্যুরিস্ট জোনের জন্য প্রায় এক হাজার ১৬৫ একর জমি প্রয়োজন হবে, যার মধ্যে প্রায় ৯৩৭ একর খাসজমির সম্ভ্যাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সম্মতি দিয়েছে।
এছাড়া ‘আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে’ সমুদ্র সৈকতের ১৩৫ একর জমি ব্যবহারেরও অনুমতি দিয়েছে সরকার।
অন্য প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল উপলের জায়গায় পাঁচ দশমিক ৭৬ একর জমিতে ওয়াচ টাওয়ার, শপিং মল, ফুড কোর্ট, সিনেপ্লক্স ও সুইমিংপুল নিয়ে গড়ে তোলা হবে ‘ট্যুরিজম কমপ্লেক্স’।
সভায় পিপিপির আওতায় খুলনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে একটি ‘শপিং মল কাম গেস্ট হাউজ’ নির্মাণের প্রস্তাবও নীতিগত অনুমোদন পায়।
এছাড়া মংলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ঠিকাদার নিয়োগের জন্য প্রস্তাব (আরএফিপি) আহ্বানের বিষয়েও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।