এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সব পাটকল, রপ্তানিকারক ও পাট ব্যবসায়ীরা পাঁচ বছর মেয়াদে নবায়নযোগ্য আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন এই তহবিল থেকে কম সুদে ঋণ নিতে পারবে।
সোমবার এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ১৬টি ব্যাংকের চুক্তি হয়েছে।
চুক্তির আওতায় ব্যাংকগুলো এই তহবিল থেকে পাঁচ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে তার সঙ্গে আরো কিছু যোগ করে পাট ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে বিতরণ করবে। তবে এ ঋণের সুদের হার সব মিলে নয় শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং ১৬ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
“পাট শিল্পে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষ করে কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচা পাট ক্রয়ের মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা করা এ তহবিল গঠনের প্রধান উদ্দেশ্যে।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো ৫ শতাংশ সুদে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পাটকল (সরকারি ও বেসরকারি) এবং রপ্তানিকারক ও পাট ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ নয় শতাংশ সুদে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহ হতে এ ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
পাট খাতের রুগ্ন অবস্থা দূর করার জন্য বিশেষ করে পাট চাষীদেরকে উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে তাদেরকে পাট চাষে উৎসাহিত করতে এ তহবিল ভূমিকা রাখবে বলে আশাপ্রকাশ করেন ডেপুটি গভর্নর।
তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার পাট শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালুর অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। ১৬টি তফসিলি ব্যাংক আলোচ্য তহবিল থেকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণের জন্য আগ্রহপ্রকাশ করেছে এবং বর্তমান সময়ে কাঁচা পাট ক্রয়ের ভরা মওসুমের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।”