এ অঞ্চলের ২৮টি দেশের ওপর চালানো গবেষণার পর সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, এসব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৩ থেকে ২৭ এর মধ্যে।
বুধবার সফররত এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিন্দু এন লোহানী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
এডিবির প্রতিবেদনে শিক্ষা খাতে ২৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম। বাংলাদেশের পেছনে আছে নেপাল, ক্যাম্বোডিয়া ও পাকিস্তান। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া।
শিক্ষা খাতে দক্ষিণ এশিয়ার গড় মান ৪ দশমিক ৬৬। আর বাংলাদেশের সূচক মান ১ দশমিক ৭৫। মোট ১০ পয়েন্টে এই মান ধরা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় আইসিটি খাতে বাংলাদেশের অবস্থান ২৩তম। বাংলাদেশের পরে আছে ক্যাম্বোডিয়া ও মিয়ানমার। এ খাতে দক্ষিণ এশিয়ার গড় মান ৪ দশমিক ২৮। আর বাংলাদেশের সূচক মান ১ দশমিক শূন্য ১।
উদ্ভাবন এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি- এই দুই খাতেই বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম এবং দুটি খাতেই বাংলাদেশের পেছনে আছে মিয়ানমার।
উদ্ভাবন খাতে দক্ষিণ এশিয়ার গড় মান ৪ দশমিক ৫০। আর বাংলাদেশের মান ১ দশমিক ৬৯। জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার গড় মান ৪ দশমিক ৩৯, আর বাংলাদেশের মান ১ দশমিক ৪৯।
কয়েকটি ক্ষেত্রে উন্নতি করার কথা থাকলেও সময়মতো তা না হওয়াই পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন মুহিত।
তিনি বলেন, “২১ বছর আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে চার শতাংশের মধ্যে। একটা বিশাল সময় আমরা নষ্ট করেছি।”
২০২১ সালের বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে, এমনটাই আশা তার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা বর্তমানে লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি। আশা করছি, দ্রুত মিডল ইনকাম কান্ট্রিতে যাব। ২০২১ সালের মধ্যে অনেক এগোব। প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে, কোন খাতে এগোবে।
“আইসিটিকে যদি অন্যভাবে গুরুত্ব দেই তাহলে এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে। তবে শিক্ষায় আমরা দূর্বল। প্রাইমারি শিক্ষায় আমরা প্রায় শতভাগ শিশু অন্তর্ভুক্ত করতে পারলেও মাধ্যমিক শিক্ষায় তা হচ্ছে না। উচ্চ শিক্ষায় আরো কম। মাধ্যমিক স্তর থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমাতে হবে।”
তিনি জানান, এডিবি বাংলাদেশে এসব খাতে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। সংস্থাটি এসব খাতে অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে আগ্রহী বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।