শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এফআইসিসিআইয়ের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিপূর্ণ অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। রয়েছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। সরকার বিদেশি বিনিয়োগের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদানের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
“স্বল্পমূল্যে শ্রমিক প্রাপ্তি, উৎপাদিত পণ্যের বিশাল বাজার, ট্যাক্স হলিডে, ট্রান্সপোর্টেশন ও বন্দর ব্যবহারের সুবিধাসহ নানাবিধ ইনসেনটিভ কার্যক্রম রয়েছে। আমি আশা করি, দেশে বিদ্যমান সুবিধাগুলো বিবেচনা করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন।”
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এফআইসিসিআইকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
“বিদ্যুৎ উৎপাদন, গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান, অবকাঠামো, জাহাজ নির্মাণ, টেক্সটাইল, চামড়া শিল্প, তথ্য ও প্রযুক্তি, কৃষিভিত্তিক শিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব খাতে বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারেন। এ বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকারের পাশাপাশি আমি এফআইসিসিআই সদস্যদের আহ্বান জানাই,” বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশে ১ হাজার ৭৩০ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে, যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ।
৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এফআইসিসিআই সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “একটি সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশের বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ সম্পর্কে সকলকে অবগত করা আপনাদের সকলের দায়িত্ব। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আপনারা নিরলস ও আন্তরিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবেন-এ বিশ্বাস আমার রয়েছে।”
ব্যবসায়ীদের সংগঠনটিকে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি।
এফআইসিসিআইর সভাপতি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি’র ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ইয়ুংওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কিহাক সাঙ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী জিম ম্যাকাবে প্রমুখ বক্তব্য দেন।