শাখা খুলতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সিআইবি রিপোর্ট নিতে হবে

এখন থেকে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নতুন শাখা খুলতে হলে পরিচালকদের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) থেকে প্রতিবেদন নেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর  আতিউর রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2014, 04:55 PM
Updated : 12 August 2014, 04:55 PM

মঙ্গলবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক সভায় লিখিত বক্তব্যে একথা বলেন গভর্নর।

গভর্নর আরো বলেন, “এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখার প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনের ক্ষেত্রে ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের পাশাপাশি ক্ষেত্রভেদে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগও পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।”

বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা খোলার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক পরিস্থিতি, তহবিল যোগান সক্ষমতা ও শাখার প্রস্তাবিত স্থানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করা হয়।

বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বৈঠকের আলোচনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ডেপুটি গভর্নর বলেন, “শাখা স্থাপনের বিষয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন পূরণে জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ মূলধন পূরণ করতে ব্যর্থ হলে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও দেশের তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মাইডাস ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কম্পানি (বিআইএফসি) এবং জিএসপি ফাইন্যান্স।

প্রতি তিন মাস পরপর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম, সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

মঙ্গলবারের সভায় ডকুমেন্টেশন ফি পুনর্বিবেচনা, ঋণ বিতরণ পরবর্তী সময়ে গ্রাহকদের প্রতিউত্তর সংগ্রহ, শাখা স্থাপনের নীতিমালা শিথিলকরণ, লিজ ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত নীতিমালা সংশোধন ও শরিয়াহভিত্তিক এসএমই পুনঃঅর্থায়ন স্কিম সুবিধা চালুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সুর চৌধুরী জানান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডকুমেন্টেশন ফি আদায়ে গ্রাহকদের হয়রানি না করেই চার্জ আদায় করতে বলা হয়েছে। ঋণগ্রহীতাদের ফিডব্যাকের প্রতিবেদন তিন মাসের পরিবর্তে বছর শেষে দাখিল করলেই হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গভর্নর আতিউর রহমানও তার লিখিত বক্তব্যে ডকুমেন্টেশন ফি না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানগুলো ডকুমেন্টেশন ফি বাড়িয়ে দ্বিগুন অর্থাৎ ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে, বর্তমানে যা দশমিক ৫০ শতাংশ রয়েছে।

এছাড়া লিজ ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিলাস বহুল গাড়ি কিনে উচ্চব্যয়ে পরিহার বিষয়ক যে নীতিমালা করা হয়েছে তা আপাতত বিবেচনার অবকাশ নেই বলে জানান গভর্নর।