এবার বরিশালের গ্রামেও বিদ্যুতের লাইন

এবার বরিশাল বিভাগে পল্লী বিদ্যুতের সুবিধা বাড়াতে আড়াই হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফো ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2014, 12:40 PM
Updated : 5 August 2014, 02:09 PM

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৩৩২ কোটি টাকার সংশোধিত এই প্রকল্পটিসহ ৭২১ কোটি টাকার চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ বরিশাল বিভাগীয় কার্যক্রম-১’ প্রকল্পটি ২০১০ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিল। তখন প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৬৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

প্রকল্পটিতে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) ২০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প সাহায্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় জুন, ২০১৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

গত ২৪ জুন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আইডিবির চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়ায় মঙ্গলবার একনেক সভায় সংশোধিত এই প্রকল্পটির কাজ নতুন করে শুরুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তবে এরই মধ্যে প্রকল্পটির ব্যয় ৬৫ কোটি টাকা বেড়ে ৩৩২ কোটি টাকা হয়েছে। এর বাস্তবায়নের মেয়াদও ২০১৬ সালের জুন পর‌্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবারের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অনুমোদিত এই প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, মুদ্রার বিনিময় হার ২০১০ সালের তুলনায় বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে।

“এ প্রকল্পের আওতায় ২২০০ কি.মি নতুন বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ এবং ৩০০ কি.মি লাইন পুনর্বাসন করা হবে।”

 ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

গত ১৫ জুলাই অন্য পাঁচ বিভাগে ২৬ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য চার হাজার ৭২১ কোটি টাকার তিন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

মুস্তফা কামাল বলেন, সভায় ৭২১ কোটি টাকার যে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে তাতে সরকারি অর্থায়ন ৫৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ  ১৫৬ কোটি টাকা। প্রকল্প চারটির মধ্যে দুটি নতুন প্রকল্প এবং ২টি সংশোধিত প্রকল্প।

এছাড়া সভায় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলা এবং তৎসংলগ্ন এলাকাকে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন হতে রক্ষার জন্য নদী তীর সংরক্ষণ (১ম পর্যায়) শীর্ষক ১৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সভায় দেশে দুধের উৎপাদন বাড়াতে ‘ব্রীড আপগ্রেডেশন থ্রু প্রজেনী টেস্ট (৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ২০১৯  সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পের কার‌্যপত্রে বলা হয়েছে, ভিশন ২০২১ অনুয়ায়ী বাংলাদেশে দৈনিক জনপ্রতি ১৫০ মি.লি দুধপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হলে দুধ উৎপাদনের বাৎসরিক বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে নিয়মিতভাবে প্রুভেন বুল উৎপাদন করতে হবে, যাতে অব্যাহতভাবে অধিক উৎপাদনশীল গাভী তৈরি হয়।

এবিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান।

এছাড় ১৯টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক অপর একটি সংশোধিত প্রকল্পও একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী,  প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।