বকেয়া বেতন দাবিতে তোবা গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন তোবা গ্রুপের পাঁচ কারখানার শ্রমিকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2014, 05:57 PM
Updated : 30 July 2014, 12:30 PM

এই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে কারাগারে আছেন আশুলিয়ায় তাদের প্রতিষ্ঠান তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে ১১২ শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনায়।

বুধবার সকাল থেকে বিজিএমইএ ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তুবার শ্রমিকরা। দিনভর বিক্ষোভেও বকেয়া বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার আবারো সেখানে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

তবে সন্ধ্যায় বিজিএমইএর এক বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরির একটি অংশ আগামী শনিবার পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠনটির লেবার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আহাদ আলী আনসারি জানিয়েছেন।

অবশ্য এর আগেও একাধিকবার এসব কারখানার শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের আশ্বাস দেয়া হলেও শ্রমিকরা টাকা পাননি।

এ বিষয়ে আহাদ আনসারি বলেন, “ব্যাংকে টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই টাকা তোবা গ্রুপেরই অন্য কারখানা চালাকি করে ব্যাংক থেকে নিয়ে যায়। ফলে এসব কারখানার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।”

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় অবস্থিত তায়েব ডিজাইন, তোবা টেক্সটাইল মিল, মিতা ডিজাইন, তোবা ফ্যাশনস ও বুকশান গার্মেন্টস লিমিটেডের দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক গত তিন মাস থেকে মজুরি ও অন্যান্য ভাতা পাচ্ছেন না।

ফাইল ছবি

বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান নেয়া এক শ্রমিক বলেন, গত মে মাস থেকে তাদের মজুরি বকেয়া পড়ে আছে। বকেয়া মজুরির দাবিতে এর আগেও একাধিকবার তারা রাস্তায় নেমেছেন।

সর্বশেষ গত ২৩ জুন বিজিএমইএতে কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও বিজিএমইএর প্রতিনিধিদের এক বৈঠকে চলতি জুলাই মাসের ২৬ তারিখের মধ্যে বকেয়া মজুরি পরিশোধের বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়।

তোবা গ্রুপের চেয়ারম্যান কারাবন্দী দেলোয়ারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার এবং বিজিএমইএর প্রতিনিধি হিসেবে আহাদ আনসারি ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

চুক্তিতে বলা হয়, মে মাসের মজুরি গত ৩ জুলাই, জুনের মজুরি ১৫ জুলাই এবং চলতি মাসের ১৫ দিনের মজুরি ও ঈদ বোনাস আগামী শনিবার পরিশোধ করা হবে।

কিন্তু শ্রমিকরা এখনো কোনো টাকা পাননি।

তাইফ ডিজাইনের লাইন ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের একের পর এক তারিখ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বেতন দেয়া হচ্ছে না। এই তিনটা মাস খুব কষ্টে গেছে। ঈদ চলে এসেছে। কিন্তু কোন টাকা নেই। কীভাবে কী করবো কিছু জানি না।”