দুদক যাতে সহজে তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে সেজন্য ওই চিঠির সঙ্গে বেসিক ব্যাংকের গুলশান ও দিলকুশা শাখায় পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদন এবং পরিচালনা পর্ষদের বিভিন্ন সভায় হওয়া অনিয়মের ওপর পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
৪৭ পৃষ্ঠায় ওই প্রতিবেদনকে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন’ হিসাবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দুদকের অনুরোধে গত বছরের ২৫ জুলাই বেসিক ব্যাংকের গুলশান, শান্তিনগর ও দিলকুশা শাখার ওপর করা বিশেষ তদন্ত প্রতিবেদন তাদের পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তার প্রেক্ষিতে দুদক কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অবহিত নয়।
“এরপর ব্যাংকটির গুলশান ও দিলকুশা শাখায় তদন্তে আরো কিছু গুরুতর অনিয়ম ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বিভিন্ন সভায় সংঘটিত অনিয়মের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।”
এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার অগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে দুদককে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
দুদকের তদন্তের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের গুলশান, শান্তিনগর ও দিলকুশা শাখায় তদন্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়ম পাওয়ার পর গত ২৯ মে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার অনুরোধ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এরই মধ্যে গত ২ জুলাই পদত্যাগ করেন বেসিক ব্যাংকের তখনকার চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু।
এরপর ৬ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে গেজেট প্রকাশ করে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়।