রোববার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানান।
সকালে গভর্নর আতিউর রহমানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন বেসিক ব্যাংকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ। এসময় এস এম মনিরুজ্জামান ও বেসিকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুস সোবহান উপস্থিত ছিলেন।
গভর্নর নতুন চেয়ারম্যানকে ব্যাংকটির ক্রমাবনতিশীল আর্থিক অবস্থা থেকে উত্তরণে জরুরি ভিত্তিতে কিছু উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন। এবিষয়ে জানাতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, “ব্যাংকিং আইন অনুযায়ী সব ঋণই ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের অধীনে হয়ে থাকে। সেখানে কাগজে-কলমে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যের কোনো ভূমিকা থাকে না। সেজন্যে ঋণ অনিয়মের দায়-দায়িত্বও তাদের ওপর বর্তায় না। কিন্তু কাগজের বাইরে অনেক ব্যাপারইতো কাজ করে, তা আপনারা সবাই জানেন।
“এ প্রেক্ষিতে পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আমরা (বাংলাদেশ ব্যাংক) স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দুদকে আমাদের অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাবো, যাতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে।”
এর আগেও দুদকের চাহিদামাফিক তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিলো বলে জানান নির্বাহী পরিচালক।
বৈঠকে আব্দুল হাই বাচ্চু ও সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামের আস্থাভাজন দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নতুন চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর।
মনিরুজ্জামান বলেন, “আগামীকাল বেসিক ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বৈঠক হবে। তার আগে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান গভর্নরের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। গভর্নর তাকে ব্যাংকটির উন্নয়নের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।”
নির্বাহী পরিচালক বলেন, “ব্যাংকটির দিলকুশা, শান্তিনগর, গুলশান, প্রধান শাখা, আগ্রাবাদ শাখা ও জুবিলী রোড শাখার সামগ্রিক কার্যক্রম কঠোর নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”